10 টি Bangla Tips - ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ানোর ঘরোয়া সহজ কিছু উপায়-Natural Amazing Beauty Tips In Bangla
সব মানুষের সুন্দর, চকচেক, উজ্জল ত্বকের স্বপ্ন থাকে । মানুষ যেমন চিরকাল প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্যের প্রতি আকৃ্ষ্ট হয়, তেমনি ভাবে খুব সহজেই মানুষের মনে সুন্দর ত্বকের অধিকারিণী হিসাবে স্থান করে নেয় । কথায় আছে না সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র হয় । আর বর্তমান চাহিদাপূর্ণ জিবনে ও পরিবেশ দূষণে, ত্বকের যত্নে অতিয়াব্যশক ।
তাছাড়া সুন্দর ত্বক থাকলে কোন বাজারজাত সামগ্রীর স্পশ ছাড়াই আপনাকে অনেক উজ্জল আকর্ষণীয় লাগবে । পথে, ঘাঁটে, গাড়িতে, অফিসে বা আশেপাশে এমন কিছু মানুষকে দেখা যায়, অনেকটাই উজ্জল অন্যদের তুলনায় তাদের ত্বক । সে সময় হয়তো আপনিও ভাবেন, এমন ত্বক যদি আমারও হতো । না আর কোন দুরচিন্তা নয় । আজকে আমি এই বাংলা টিপসের মাধ্যমে আপনাদের জন্য ত্বক সম্প্রকিত কিছু তথ্য শেয়ার করলাম। সঠিকভাবে ব্যবহার আপনার ত্বক হবে উজ্জল ও আকর্ষণীয় । অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি এসব করতে আপনাকে কোন বিউটি পার্লারে যেতে হবেনা বা দামি কোন বিউটি প্রোডাক্ট কিনতে হবেনা । তাহলে চলুন আজকে আমরা সেই উপকরণগুলির Bangla Tips নিয়ে কথা বলবো যা আমাদের হাতের কাছে বা রান্নাঘরে থাকলেও তাদের গুনাগুন সম্প্রকে আমরা বেশি কিছু জানিনা ।
আমরা বাঙালী হয়েও গরম ভাতে ঘি খাই নাই, একথা বিশ্বাস করা যায়না । আমাদের মা-ঠাকুরমারা বলতেন, ঘি খেলে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ে । কারণ আগেরকার যুগে মা-ঠাকুরমাদের রুপচর্চার আসল উপকরণ ছিল এই ঘি । আজকে আমরা গবেষকদের তথ্য থেকে জেনে নিব আমাদের মা-ঠাকুরমাদের বলা সেই কথা গুলি সত্যি ছিল কতটা ।
![]() |
Bangla Tips |
তাছাড়া সুন্দর ত্বক থাকলে কোন বাজারজাত সামগ্রীর স্পশ ছাড়াই আপনাকে অনেক উজ্জল আকর্ষণীয় লাগবে । পথে, ঘাঁটে, গাড়িতে, অফিসে বা আশেপাশে এমন কিছু মানুষকে দেখা যায়, অনেকটাই উজ্জল অন্যদের তুলনায় তাদের ত্বক । সে সময় হয়তো আপনিও ভাবেন, এমন ত্বক যদি আমারও হতো । না আর কোন দুরচিন্তা নয় । আজকে আমি এই বাংলা টিপসের মাধ্যমে আপনাদের জন্য ত্বক সম্প্রকিত কিছু তথ্য শেয়ার করলাম। সঠিকভাবে ব্যবহার আপনার ত্বক হবে উজ্জল ও আকর্ষণীয় । অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি এসব করতে আপনাকে কোন বিউটি পার্লারে যেতে হবেনা বা দামি কোন বিউটি প্রোডাক্ট কিনতে হবেনা । তাহলে চলুন আজকে আমরা সেই উপকরণগুলির Bangla Tips নিয়ে কথা বলবো যা আমাদের হাতের কাছে বা রান্নাঘরে থাকলেও তাদের গুনাগুন সম্প্রকে আমরা বেশি কিছু জানিনা ।
ঘরোয়া ভাবে সৌন্দর্য বাড়ানোর কিছু বাংলা টিপস- Natural Beauty Tips In Bengali
1. ঘি বা "ঘৃত"
![]() |
Bangla Tips |
আমরা বাঙালী হয়েও গরম ভাতে ঘি খাই নাই, একথা বিশ্বাস করা যায়না । আমাদের মা-ঠাকুরমারা বলতেন, ঘি খেলে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ে । কারণ আগেরকার যুগে মা-ঠাকুরমাদের রুপচর্চার আসল উপকরণ ছিল এই ঘি । আজকে আমরা গবেষকদের তথ্য থেকে জেনে নিব আমাদের মা-ঠাকুরমাদের বলা সেই কথা গুলি সত্যি ছিল কতটা ।
মইয়েশ্চরাইজার হিসাবে ব্যবহার - ঘি এ আছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের সাভাবিক আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অতএব ত্বকের জন্য ভালো ময়েশ্চরাইজার হলো ঘি । খসখসে ত্বক , শুষ্ক ত্বক নানারকম সমস্যার জন্য ঘিয়ের ম্যাসাজ ভালোভাবে করলে আপনার ত্বক হবে কোমল ও মোলায়েম। বার্ধক্য জনিত দাগ, মেছতার ছোপ, কালছে ভাব দূর করতে ঘিয়ের ম্যাসাজ খুবই উপকারি ভুমিকা পালন করে ।
চুলের সমস্যায় ব্যাবহার করুন ঘি- উস্কো, খুস্কো- শুষ্ক চুলের যত্নে অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেলের সাথে সামান্য পরিমাণ ঘি মিশিয়ে চুলে লাগান । চুল হবে নরম মোলায়েম ও সিল্কি আর সাদা চুলের সমস্যা থেকেও পাবেন মুক্তি ।
শীতে শুষ্ক ফাটা ঠোঁটের সমস্যা রোধে- শীতে শুষ্ক ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকে সবার । ফেটে যাওয়া ঠোঁট, ঠোঁটের চামড়া উঠে গিয়ে রক্ত বের হওয়া ও অনান্য সমস্যায় ঠোঁটে হালকা ঘি লাগিয়ে আলত ভাবে ম্যাসাজ করুন । ঘি এর তেল চটচটে ভাব আপনার ঠোঁটে আলাদা আবরণ তৈরি করে ও শীতের আদ্রতা থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষিত রাখে ।
ফাটা পায়ের সমস্যা রোধে- শুধু শীতকালে অনেকের পা ফেটে যায়, পা ফেটে যাওয়ার সমস্যা আবার কারও কারও সারা বছর দেখা যায় । পা ফাটার সমস্যা রোধে রাতে ঘুমানোর আগে ঘিয়ের ম্যাসাজ নিয়মিত করলে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
2. হলুদ
হলুদ হলো মসলার রাণী আপনি জানেন কি ? সেই আদিকাল থেকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে হলুদ । এছাড়া হলুদকে খুবই পবিত্র উপকরণ হিসেবে গণ্য করা হয়ে আসছে । বর্তমান যার মধ্যে রয়েছে অনেক মহা ঔষুধি গুন । নানা পরীক্ষা- নিরিক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত যদি ১ টুকরা হলুদ খাওয়া যায় তাহলে মুখের কর্কট রোগ বা মাউথ ক্যান্সার হয়না । শুদ্ধ হলুদ অ্যান্টিসেপ্টিক, প্রদাহজনক বিরোধ ও জীবাণুমুক্ত বৈশিষ্টের জন্যও অনেক পরিচিত । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক সৌন্দর্য বাড়াতে আপনি হলুদ কিভাবে ব্যবহার করবেন ।
ব্রণের প্রতিরোধে- অসাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, অনিয়মিত জীবনযাপনের ফলে ব্রণ একটি খুবই সাধারণ সমস্যা । প্রধানত অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের মাঝে এই সমস্যা খুব বেশি মাত্রায় দেখা যায় । তাছাড়া ব্রণ হয়ার জন্য দায়ী কিছু হরমোনাল কারন, বাইরের ধুলোবালি ও তৈলাক্ত ত্বক । সে যে কারনেই হোক না কেন হলুদের মাঝে থাকা বিশেষ কিছু উপকরণ এই সমস্যার সমাধানে খুবই কার্যকরি কাজ করে । ব্যবহার বিধিঃ
- ১ চামচ লেবুর রসের সাথে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে শুধুমাত্র ব্রণের উপড় লাগাবেন ।
- মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন । হলুদের মাঝে থাকা অ্যান্টিসেপ্টিকের গুনাগুন ব্রণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে ও লেবুর রসে থাকা ব্লীচিং ব্রণের দাগ দূর করে ।
- মুখের অবাঞ্ছিত লোম ঊঠাতে সাহায্য করে- কারও কারও মুখে অবাঞ্ছিত লোম থাকে যা দেখতে খুবই দৃষ্টিকটু ।
- তাই অনেকেই ওয়্যাক্সিং বা থ্রেডিং পদ্ধতি অবলম্বন করে । এক্ষেত্রে হলুদের নিয়মিত ব্যবহার অনেক লাভজনক ।
ব্যবহার বিধিঃ
- হলুদের সঙ্গে জল মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈ্রি করুন তা শুধু অবাঞ্ছিত লোমের উপরে লাগান ।
- তা শুকিয়ে গেলে লোমের গ্রোথের অপর পাশে ম্যাসাজ করবেন । দেখবেন আপনার লোমের সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে ।
- চোখে নিচে কালোদাগ ও রিঙ্কেলস কমাতে- বয়স বাড়ার সাথে সাথেই বা অতিরিক্ত চিন্তা, অত্যাধিক পরিশ্রমের কারণে আমাদের সবাইকে এই সমস্যাগুলির সম্মুখিন হতে হয় । এই সমস্যায়ও হলুদ কাজে লাগানো যায় ।
- মাখনের সাথে হলুদ ও আঁখের রস মিশিয়ে তরল মিশ্রণ তৈ্রি করুন ।
- রাতে ঘুমানোর আগে আঙ্গুলের সাহায্যে চোখের নিচে ও পুরো মুখে ভালভাবে ম্যাসাজ করুন ।
3. নারিকেল তেলঃ
![]() |
Bangla Tips |
প্রাচীনকাল থেকে চুলের পুষ্টির জন্য নারিকেল তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে আজকে আমরা জানতে পারবো ত্বকের যত্নে নারিকেল তেল আমরা কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারি ।
নারিকেল তেল মেকাআপ রিমুভার হিসাবে ব্যবহারঃ
সারাদিন আপনারা যা কিছুই করুন না রাতে ঘুমানোর আগে খুবই জরুরী বিষয় হলো মেকআপ তোলা ও এবং সে জন্য আমরা নামি দামী বিভিন্ন রকমের মেকআপ রিমুভার বেশি দাম দিয়ে কিনে থাকি অথচ প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার আমাদের বাড়িতেই রয়েছে ।
ব্যবহার বিধিঃ
- রাতে ঘুমানোর আগে দুয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল আপনার মুখে লাগান ।
- তারপর একটু ভেজা কাপড় বা তুলা দিয়ে হালকা ভাবে ঘষে মেকাআপ তুলে ফেলুন ।
- এবার দেখুন নামী দামী রিমুভারের থেকে নারিকেল তেল কত ভাল ভাবে কাজ করে ও আপনার ত্বকের গভীর থেকে পুষ্টি দেয় ।
এক্সফ্লিয়েট হিসাবে নারিকেল তেলের ব্যভারঃ- মৃত কোষ তুলে মুখের নতুন কোষ বৃ্দ্ধিতে এক্সফ্লিয়েটের অপরিসীম ভুমিকা পালন করে ।
ব্যবহার বিধিঃ-
- এজন্য বেকিং সোডার সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন ।
- এটি স্ক্রাবের জন্য ভালো কাজ করে কিন্তু সেন্সিটিভ স্কিনে সোডার ব্যবহার না করে চিনির সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ।
নারিকেল তেলের ব্যবহার শুষ্ক ত্বকের যত্নেঃ- খুব বেশি যাদের ত্বক শুষ্ক বা ড্রাই স্কিন তাদের গোসলের পরে চামড়া শুঁকিয়ে যায় । এ সমস্যা বেশি দেখা যায় শীতকালে । এজন্য গোসলের পানির সাথে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল মিশিয়ে গোসল করলে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায় শুষ্ক ত্বকের সমস্যার জন্য ।
চোখের তারার কালো দাগ বা ডাক সার্কেল দূর করতেঃ- কাজের চাপের জন্য যদি ডাক সার্কেল আপনার সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে খাঁটি নারিকেল তেল হাতে নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে চোখের নিচে হালকা ম্যাসেজ করে ঘুমিয়ে পড়ুন । চোখের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে নারিকেল তেল যার ফলে কিছু দিনের মধ্যেই আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে ।
4. মধু (Honey)
সেই প্রাচীনকাল থেকে আমরা মধু বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি । প্রাচীন পুঁথিগুলোতে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে । ত্বকের যত্নে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো মধুর গুনাগুন ।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধুর ব্যবহারঃ- আমাদের শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু ভীষণ কার্যকরী । মধুতে থাকা মইয়েশ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বকের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনে।
বার্ধক্যের দাগ প্রতিরোধের জন্যঃ- মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা্র্ধক্যের দাগ হ্রাস করে করে তোলে উজ্জল ও লাবণ্যময়ী । তাছাড়া পায়ের ফাটা গোড়ালি ও ফাটা ঠোটে মধু ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায় ।
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধেঃ- ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে মধু ।
5. লেবু (Lemon )
আমাদের রান্নাঘরে সবসময় থাকে পাতিলেবু (দেশি লেবু) । পাতিলেবু শুধু খাদ্য হিসাবে নয়, রূপচর্চায় অপরিসীম অবদান রয়েছে ।
শরীরে রঙ ফর্সা করতেঃ- এর আগেই বলেছি লেবুতে থাকা ব্লীচিং এর গুনাগুনের জন্যই ত্বকের কালো ভাব অতিসহজেই দূর সম্ভব ।
ব্যবহার বিধিঃ-
7. মরিচ (Chili)
সাধারণত রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য কালো মরিচ (গোল মরিচ) ব্যবহৃত হয় । কিন্তু আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায়, জ্বর, স্র্দি- কাশীতে এই মরিচ ব্যবহার করা হয় । তাহলে চলুন আমাদের রান্নাঘরে রাখা এই মশলাটির গুনের কথা Bangla Tips থেকে জেনে নেই ।
গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে ও ফাইবার । তাছাড়া এতে রয়েছে অপরিহার্য পিপেরাইন তেল যা অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহৃত হয়, বাত ব্যাথা, পাচন সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে । এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুন রোগ প্রতিরোধ করে, গায়ের কালোজ্বর (ঘুষঘুষে জ্বর) কমাতে ব্যবহার করা হয় ।
বার্ধক্যের ছাপ কমাতেঃ- প্রতিদিনের খাদ্যের সঙ্গে কালো মরিচ বা গোল মরিচ খেলে বার্ধক্যের দাগ, মুখের কালচে ভাব দূর করে ও মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে ।
ত্বকের এক্সফলিয়েশনেঃ- দইয়ের সাথে গোলমরিচ গুড়ো মিশিয়ে মুখে এক্সফলিয়েট হিসাবে ব্যবহার করুন ।
গায়ের রঙ ফর্সা করতেঃ- গায়ের রঙ উজ্জল ও ফর্সা করতে মধুর সাথে গোল মরিচ গুড়ো মিশিয়ে মুখে ও হাতে ব্যবহার করুন ।
8. বেসন (Besan)
আমাদের সকলের ঘরেই বেসন থাকে । সন্ধ্যার সময়ের নাস্তায় আলুর চপ বা বেগুনি তৈ্রিতে বেসন ব্যবহার করি । নরমাল খাবারকে আনকমন বানাতে এর কোন জুড়ি নেই । প্রয়োজনীয় খাবার ছাড়াও রুপচর্চাতেও বিপুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বেসন ।
ত্বককে পরিষ্কার করতেঃ- ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার করতে বেসন খুব সহায়তা করে । আমাদের দাদি- দিদারা বলতেন হলুদের সাথে বেসন মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হবে ভীতর থেকে ফর্সা ও উজ্জল ।
রোদে পোড়া চামড়া ঠিক করতেঃ- সানস্কিন ব্যবহার না করার কারনে সূর্যের তাপে পুড়ে যায় আপনার চামড়া । রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য বেসনের সঙ্গে লেবুর রস, এক চা-চামচ দুধ ও সামান্য একটু হলুদ গুড়ো মিশিয়ে পোড়া দাগের উপরে লাগান । অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার কালচে ভাব দূর হবে এবং আগের উজ্জলতা ফিরে পাবেন ।
4. মধু (Honey)
![]() |
Bangla Tips |
সেই প্রাচীনকাল থেকে আমরা মধু বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি । প্রাচীন পুঁথিগুলোতে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে । ত্বকের যত্নে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো মধুর গুনাগুন ।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধুর ব্যবহারঃ- আমাদের শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু ভীষণ কার্যকরী । মধুতে থাকা মইয়েশ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বকের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনে।
বার্ধক্যের দাগ প্রতিরোধের জন্যঃ- মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা্র্ধক্যের দাগ হ্রাস করে করে তোলে উজ্জল ও লাবণ্যময়ী । তাছাড়া পায়ের ফাটা গোড়ালি ও ফাটা ঠোটে মধু ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায় ।
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধেঃ- ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে মধু ।
5. লেবু (Lemon )
আমাদের রান্নাঘরে সবসময় থাকে পাতিলেবু (দেশি লেবু) । পাতিলেবু শুধু খাদ্য হিসাবে নয়, রূপচর্চায় অপরিসীম অবদান রয়েছে ।
![]() |
Bangla Tips |
শরীরে রঙ ফর্সা করতেঃ- এর আগেই বলেছি লেবুতে থাকা ব্লীচিং এর গুনাগুনের জন্যই ত্বকের কালো ভাব অতিসহজেই দূর সম্ভব ।
ব্যবহার বিধিঃ-
- বেকিং পাউডারের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণের দাগে, হাটু ও কনুইয়ের কালচে ভাব অংশে লাগান ও কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন ।
- অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই পদ্ধতি অনুকরণ করলে অতিসহজেই কালচে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
স্ট্রেচ মার্কস দুরকরনীয়ঃ- অতিমাত্রারিক্ত ওজন বাড়ার ফলে বা পেগনেন্ট (গর্ভবতী ) মহিলাদের খুব সাধারণ সমস্যা হলো স্ট্রেচ মার্কস । এই সমস্যা সমাধানের জন্য মার্কসের উপর লেবুর রস নিয়মিত লাগালে মার্কসের দাগ কমে যেতে আরম্ভ করে ।
6.আদা (Ginger)
প্রতিদিনের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান আদা । ত্বকের জন্যও তার অপরিসীম অবদান । তাহলে চলুন জেনে নেই আমাদের ত্বকের জন্য আদা কি কি ভুমিকা পালন করে ।
হাইপারপিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করেঃ- আদার রস হলো হাইপারপিগমেন্টেশনের শ্রেষ্ঠ প্রতিশোধক। নিয়মিত দশ দিন টাটকা আদার রস ব্যবহারে আপনার হাইপারপিগমেন্টেশন নিমিশেই দূর হয়ে যাবে ।
প্রাকৃ্তিক ক্লিনজারে আদার রসঃ- প্রাকৃ্তিক ক্লিনজার হিসাবে আদার রস খুবই কার্যকরী ।
তাছাড়া দুধের সাথে আদার পাউডার দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈ্রি করে মুখে লাগাবেন। আপনার হাতের মুঠোয় আসবে উজ্জল ত্বক ।
আদার রসে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে ।
7. মরিচ (Chili)
সাধারণত রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য কালো মরিচ (গোল মরিচ) ব্যবহৃত হয় । কিন্তু আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায়, জ্বর, স্র্দি- কাশীতে এই মরিচ ব্যবহার করা হয় । তাহলে চলুন আমাদের রান্নাঘরে রাখা এই মশলাটির গুনের কথা Bangla Tips থেকে জেনে নেই ।
গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে ও ফাইবার । তাছাড়া এতে রয়েছে অপরিহার্য পিপেরাইন তেল যা অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহৃত হয়, বাত ব্যাথা, পাচন সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে । এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুন রোগ প্রতিরোধ করে, গায়ের কালোজ্বর (ঘুষঘুষে জ্বর) কমাতে ব্যবহার করা হয় ।
বার্ধক্যের ছাপ কমাতেঃ- প্রতিদিনের খাদ্যের সঙ্গে কালো মরিচ বা গোল মরিচ খেলে বার্ধক্যের দাগ, মুখের কালচে ভাব দূর করে ও মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে ।
ত্বকের এক্সফলিয়েশনেঃ- দইয়ের সাথে গোলমরিচ গুড়ো মিশিয়ে মুখে এক্সফলিয়েট হিসাবে ব্যবহার করুন ।
গায়ের রঙ ফর্সা করতেঃ- গায়ের রঙ উজ্জল ও ফর্সা করতে মধুর সাথে গোল মরিচ গুড়ো মিশিয়ে মুখে ও হাতে ব্যবহার করুন ।
8. বেসন (Besan)
আমাদের সকলের ঘরেই বেসন থাকে । সন্ধ্যার সময়ের নাস্তায় আলুর চপ বা বেগুনি তৈ্রিতে বেসন ব্যবহার করি । নরমাল খাবারকে আনকমন বানাতে এর কোন জুড়ি নেই । প্রয়োজনীয় খাবার ছাড়াও রুপচর্চাতেও বিপুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বেসন ।
ত্বককে পরিষ্কার করতেঃ- ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার করতে বেসন খুব সহায়তা করে । আমাদের দাদি- দিদারা বলতেন হলুদের সাথে বেসন মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হবে ভীতর থেকে ফর্সা ও উজ্জল ।
রোদে পোড়া চামড়া ঠিক করতেঃ- সানস্কিন ব্যবহার না করার কারনে সূর্যের তাপে পুড়ে যায় আপনার চামড়া । রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য বেসনের সঙ্গে লেবুর রস, এক চা-চামচ দুধ ও সামান্য একটু হলুদ গুড়ো মিশিয়ে পোড়া দাগের উপরে লাগান । অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার কালচে ভাব দূর হবে এবং আগের উজ্জলতা ফিরে পাবেন ।
ফর্সা ত্বক পেতেঃ- বেসনের মাঝে থাকে স্কিন লাইটেনিন প্রপাটিজ যা আপনার ত্বককে উজ্জল করতে সহায়তা করে । প্রতিদিন সাবান বাদ দিয়ে যদি অল্প কিছু বেসন দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলেন তবে আপনার গায়ের রং উজ্জল হতেই থাকবে । তাই সাবানের জন্য অযথা টাকা নষ্ট না করে প্রতাহ্য বেসন ব্যবহার করুন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- বেসন ত্বককে শুষ্ক করে তোলে, ব্যবহারের সময় যদি আপনার ত্বক শুষ্ক মনে হয় তাহলে ব্যবহারের সময় নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন । অলিভ অয়েল বা তেল ব্যবহার করলে যেমন শুষ্কতা দূর হবে তেমনি ভাবে গভীর থেকে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হবে ।
9. তিলের তেল ( Sesame oil)
তিলের তেল একটি অত্যান্ত সুপরিচিত নাম । সাধারণত তিলের বীজ থেকে এই তেল তৈ্রি হয় । তিলের তেলে আছে অ্যান্টি ইনফ্লোমেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী । তাহলে আসুন Bangla Tips এর মাধ্যমে জেনে নেই ত্বকের জন্য তিলের তেল আমরা কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারি ।
প্রদাহ রোধ করেঃ- তিলের তেলে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় প্রদাহ রোধ করতে অনেক সহায়তা করে । তাছাড়া শীতকালে ত্বকের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ রক্ষার সহায়তা করে ।
ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতেঃ- তিলের তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায় । দীপ্তিময় ও দুষনমুক্ত ত্বক পেতে হলে এর সঙ্গে সামান্য পানি এবং আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে রাতের বেলা ভালো করে আপনার ত্বকে ম্যাসেজ করুন । পরের দিন সকাল বেলা ক্লিনজার দিয়ে ভালোকরে ত্বক পরিষ্কার করুন ।
ত্বকের গুরুপ্তপূর্ণ ময়েশ্চরাইজার করতেঃ- কাটা, ছেড়া ও ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য তিলের তেল ব্যবহার করা হয় । যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়েশ্চরাইজ করতে সহায়তা করে ।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতেঃ- এই তেল প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস পেয়ে যায় যার ফলে ত্বকের বয়স দেখতে কম মনে হয়, ও আপনাকে দেখতে লাগে খুবই প্রাণবন্ত ।
পা ফাটার সমস্যার সমাধানেঃ- পা ফাটার সমস্যা যাদের আছে, নিয়মিত রাতের বেলা এই তেলের ম্যাসেজে পায়ের ফাটা দাগ দূর হয়ে যায় এবং তা আরও মোলায়েম হয়ে উঠে ।
আদিকাল থেকেই রুপচর্চার জন্য নিয়মিত ব্যবহার হয়ে আসছে সেই জিনিসটির নাম হলো দুধ । দুধের মাঝে আছে ল্যাকটিক অ্যাাসিড যা ত্বকের গভীর থেকে পরিস্কার করে, দাগ-ছোপ দূর করতে ও উজ্জল কোমল ত্বক পেতে ব্যবহার হয়ে আসছে । চলুন জেনে নেই সৌন্দর্য বাড়াতে দুধ কি কি উপায়ে ব্যবহার করা হয় ।
দুধের ব্যবহার টোনার হিসাবেঃ- সি.টি .এম এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেই অতিসহজেই কাঙ্ক্ষিত ত্বক পাওয়া যায় । সি এর মানে ক্লিন্সিং অর্থাৎ ত্বক পরিষ্কার করা, টি এর মানে টোনিং ও এম এর মানে হলো মইয়েশ্চরাইজিং করা । যদি আমরা আমাদের ত্বকের যত্নে এই নিয়ম মেনে চলতে পারি তবে আমাদের বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স বাড়বে না । এবং উপস্থিথ থাকা ত্বকের সমস্যার সমাধানও হয়ে যাবে । ঠাণ্ডা দুধ টোনার হিসাবে খুবই ভালোভাবে কাজ করে ।
দুধের মধ্যে সামান্য তুলা ভিজিয়ে নিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ভেজা তুলো মুখের উপর লাগান । দেখবেন মুখের কালচে ভাব ময়লা-নোংরার মাধ্যমে উঠে আসবে ।
ত্বক উজ্জল পেতে দুধের পেস্টঃ- সামান্য একটু দুধের সাথে ১ চামচ কাজু বাদাম বাটা, ১ চামচ কমলা লেবুর খোসা গুড়ো ও কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈ্রি করুন । কোমল, মোলায়েম ও উজ্জল ত্বক পেতে এই প্যাকের জুড়ি নেই ।
শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধের পেস্টঃ- বরদান সরূপ শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধ । খোসা ছাড়ানো কলার সাথে ১ চামচ মধু এবং সামান্য একটু দুধ মিশিয়ে ঘন গাঢ় পেস্ট তৈ্রি করে নিন এবং মুখের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন পরে সাধারণ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
আসা করি এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে ঘরোয়া জিনিস দিয়ে উজ্জল, সুন্দর ত্বক পাওয়া যায় তা আজকে আপনারা জানতে পারলেন । প্রাকৃতিক উপাদানের উপকার আজীবন অপরিসীম । এই সব উপাদানের উপর আমাদের পুরোপুরি আস্থা রাখা উচিত। যেহেতু কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই কেবলমাত্র প্রাকৃ্তিক জিনিসের ব্যবহারে উজ্জল, সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়,তাই এর প্রভাব ধীর গতিতে সামনে আসে । এজন্য আপনাকে অব্যশই ধৈ্র্যশীল হতে হবে । আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার ও লাইক করবেন। আর অব্যশই কমেন্টের মাধ্যমে Bangla Tips কে আপনার সুন্দর মতামত জানাতে পারেন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- বেসন ত্বককে শুষ্ক করে তোলে, ব্যবহারের সময় যদি আপনার ত্বক শুষ্ক মনে হয় তাহলে ব্যবহারের সময় নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন । অলিভ অয়েল বা তেল ব্যবহার করলে যেমন শুষ্কতা দূর হবে তেমনি ভাবে গভীর থেকে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হবে ।
9. তিলের তেল ( Sesame oil)
![]() |
Bangla Tips |
তিলের তেল একটি অত্যান্ত সুপরিচিত নাম । সাধারণত তিলের বীজ থেকে এই তেল তৈ্রি হয় । তিলের তেলে আছে অ্যান্টি ইনফ্লোমেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী । তাহলে আসুন Bangla Tips এর মাধ্যমে জেনে নেই ত্বকের জন্য তিলের তেল আমরা কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারি ।
প্রদাহ রোধ করেঃ- তিলের তেলে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় প্রদাহ রোধ করতে অনেক সহায়তা করে । তাছাড়া শীতকালে ত্বকের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ রক্ষার সহায়তা করে ।
ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতেঃ- তিলের তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায় । দীপ্তিময় ও দুষনমুক্ত ত্বক পেতে হলে এর সঙ্গে সামান্য পানি এবং আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে রাতের বেলা ভালো করে আপনার ত্বকে ম্যাসেজ করুন । পরের দিন সকাল বেলা ক্লিনজার দিয়ে ভালোকরে ত্বক পরিষ্কার করুন ।
ত্বকের গুরুপ্তপূর্ণ ময়েশ্চরাইজার করতেঃ- কাটা, ছেড়া ও ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য তিলের তেল ব্যবহার করা হয় । যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়েশ্চরাইজ করতে সহায়তা করে ।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতেঃ- এই তেল প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস পেয়ে যায় যার ফলে ত্বকের বয়স দেখতে কম মনে হয়, ও আপনাকে দেখতে লাগে খুবই প্রাণবন্ত ।
পা ফাটার সমস্যার সমাধানেঃ- পা ফাটার সমস্যা যাদের আছে, নিয়মিত রাতের বেলা এই তেলের ম্যাসেজে পায়ের ফাটা দাগ দূর হয়ে যায় এবং তা আরও মোলায়েম হয়ে উঠে ।
10. দুধ (Milk)
![]() |
Bangla Tips |
দুধের ব্যবহার টোনার হিসাবেঃ- সি.টি .এম এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেই অতিসহজেই কাঙ্ক্ষিত ত্বক পাওয়া যায় । সি এর মানে ক্লিন্সিং অর্থাৎ ত্বক পরিষ্কার করা, টি এর মানে টোনিং ও এম এর মানে হলো মইয়েশ্চরাইজিং করা । যদি আমরা আমাদের ত্বকের যত্নে এই নিয়ম মেনে চলতে পারি তবে আমাদের বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স বাড়বে না । এবং উপস্থিথ থাকা ত্বকের সমস্যার সমাধানও হয়ে যাবে । ঠাণ্ডা দুধ টোনার হিসাবে খুবই ভালোভাবে কাজ করে ।
দুধের মধ্যে সামান্য তুলা ভিজিয়ে নিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ভেজা তুলো মুখের উপর লাগান । দেখবেন মুখের কালচে ভাব ময়লা-নোংরার মাধ্যমে উঠে আসবে ।
ত্বক উজ্জল পেতে দুধের পেস্টঃ- সামান্য একটু দুধের সাথে ১ চামচ কাজু বাদাম বাটা, ১ চামচ কমলা লেবুর খোসা গুড়ো ও কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈ্রি করুন । কোমল, মোলায়েম ও উজ্জল ত্বক পেতে এই প্যাকের জুড়ি নেই ।
শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধের পেস্টঃ- বরদান সরূপ শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধ । খোসা ছাড়ানো কলার সাথে ১ চামচ মধু এবং সামান্য একটু দুধ মিশিয়ে ঘন গাঢ় পেস্ট তৈ্রি করে নিন এবং মুখের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন পরে সাধারণ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
আসা করি এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে ঘরোয়া জিনিস দিয়ে উজ্জল, সুন্দর ত্বক পাওয়া যায় তা আজকে আপনারা জানতে পারলেন । প্রাকৃতিক উপাদানের উপকার আজীবন অপরিসীম । এই সব উপাদানের উপর আমাদের পুরোপুরি আস্থা রাখা উচিত। যেহেতু কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই কেবলমাত্র প্রাকৃ্তিক জিনিসের ব্যবহারে উজ্জল, সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়,তাই এর প্রভাব ধীর গতিতে সামনে আসে । এজন্য আপনাকে অব্যশই ধৈ্র্যশীল হতে হবে । আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার ও লাইক করবেন। আর অব্যশই কমেন্টের মাধ্যমে Bangla Tips কে আপনার সুন্দর মতামত জানাতে পারেন ।
10 টি Bangla Tips - ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ানোর ঘরোয়া সহজ কিছু উপায়-Natural Amazing Beauty Tips In Bangla
Reviewed by Bangla Tips
on
December 29, 2019
Rating:

No comments: