10 টি Bangla Tips - ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ানোর ঘরোয়া সহজ কিছু উপায়-Natural Amazing Beauty Tips In Bangla

সব মানুষের সুন্দর, চকচেক, উজ্জল ত্বকের স্বপ্ন থাকে । মানুষ যেমন চিরকাল প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্যের প্রতি আকৃ্ষ্ট হয়, তেমনি ভাবে খুব সহজেই মানুষের মনে সুন্দর ত্বকের অধিকারিণী হিসাবে স্থান করে নেয় । কথায় আছে না সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র হয় । আর বর্তমান চাহিদাপূর্ণ জিবনে ও পরিবেশ দূষণে, ত্বকের যত্নে অতিয়াব্যশক ।
Bangla Tips

তাছাড়া সুন্দর ত্বক থাকলে কোন বাজারজাত সামগ্রীর স্পশ  ছাড়াই  আপনাকে অনেক উজ্জল আকর্ষণীয় লাগবে । পথে, ঘাঁটে, গাড়িতে, অফিসে বা আশেপাশে এমন কিছু মানুষকে দেখা যায়, অনেকটাই উজ্জল অন্যদের তুলনায় তাদের ত্বক । সে সময়  হয়তো আপনিও ভাবেন, এমন  ত্বক যদি আমারও হতো । না আর কোন দুরচিন্তা নয় । আজকে আমি এই বাংলা টিপসের মাধ্যমে আপনাদের জন্য ত্বক সম্প্রকিত কিছু তথ্য শেয়ার করলাম। সঠিকভাবে ব্যবহার আপনার ত্বক হবে উজ্জল ও আকর্ষণীয় । অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি এসব করতে আপনাকে কোন বিউটি পার্লারে যেতে হবেনা বা দামি কোন বিউটি প্রোডাক্ট কিনতে হবেনা । তাহলে চলুন আজকে আমরা সেই উপকরণগুলির Bangla Tips নিয়ে কথা বলবো যা আমাদের হাতের কাছে বা রান্নাঘরে থাকলেও তাদের গুনাগুন সম্প্রকে আমরা বেশি কিছু জানিনা ।


ঘরোয়া ভাবে সৌন্দর্য বাড়ানোর কিছু বাংলা টিপস- Natural Beauty Tips In Bengali 

1. ঘি বা "ঘৃত"

Bangla Tips



আমরা বাঙালী হয়েও গরম ভাতে ঘি খাই নাই, একথা বিশ্বাস করা যায়না । আমাদের মা-ঠাকুরমারা বলতেন, ঘি খেলে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ে । কারণ আগেরকার যুগে মা-ঠাকুরমাদের রুপচর্চার আসল উপকরণ ছিল এই ঘি । আজকে আমরা গবেষকদের তথ্য থেকে জেনে নিব আমাদের মা-ঠাকুরমাদের বলা সেই কথা গুলি  সত্যি ছিল কতটা ।


মইয়েশ্চরাইজার হিসাবে ব্যবহার -  ঘি এ আছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের সাভাবিক আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অতএব ত্বকের জন্য ভালো ময়েশ্চরাইজার হলো ঘি । খসখসে ত্বক , শুষ্ক ত্বক নানারকম সমস্যার  জন্য ঘিয়ের ম্যাসাজ ভালোভাবে করলে আপনার ত্বক হবে কোমল ও মোলায়েম। বার্ধক্য জনিত দাগ, মেছতার ছোপ, কালছে ভাব দূর করতে ঘিয়ের ম্যাসাজ খুবই উপকারি ভুমিকা পালন করে । 


চুলের সমস্যায় ব্যাবহার করুন ঘি-  উস্কো, খুস্কো- শুষ্ক চুলের যত্নে  অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেলের সাথে সামান্য পরিমাণ ঘি মিশিয়ে চুলে লাগান । চুল হবে নরম মোলায়েম ও সিল্কি  আর সাদা চুলের সমস্যা থেকেও পাবেন মুক্তি । 

শীতে শুষ্ক ফাটা ঠোঁটের সমস্যা রোধে-   শীতে শুষ্ক ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকে সবার । ফেটে যাওয়া ঠোঁট, ঠোঁটের চামড়া উঠে গিয়ে রক্ত বের হওয়া ও অনান্য সমস্যায় ঠোঁটে হালকা ঘি লাগিয়ে আলত ভাবে ম্যাসাজ করুন । ঘি এর তেল চটচটে ভাব আপনার ঠোঁটে আলাদা আবরণ তৈরি করে ও শীতের আদ্রতা থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষিত রাখে । 


ফাটা পায়ের সমস্যা রোধে-  শুধু শীতকালে অনেকের পা ফেটে যায়, পা ফেটে যাওয়ার সমস্যা আবার কারও কারও সারা বছর দেখা যায় । পা ফাটার সমস্যা রোধে রাতে ঘুমানোর আগে ঘিয়ের ম্যাসাজ নিয়মিত করলে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । 





2. হলুদ   

হলুদ হলো মসলার রাণী আপনি জানেন কি ? সেই আদিকাল থেকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে হলুদ । এছাড়া হলুদকে খুবই পবিত্র উপকরণ হিসেবে গণ্য করা হয়ে আসছে । বর্তমান যার মধ্যে রয়েছে অনেক মহা ঔষুধি গুন । নানা পরীক্ষা- নিরিক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত যদি ১ টুকরা হলুদ খাওয়া যায় তাহলে মুখের কর্কট রোগ বা মাউথ ক্যান্সার হয়না । শুদ্ধ হলুদ অ্যান্টিসেপ্টিক, প্রদাহজনক বিরোধ ও জীবাণুমুক্ত বৈশিষ্টের জন্যও অনেক পরিচিত । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক সৌন্দর্য বাড়াতে আপনি হলুদ কিভাবে ব্যবহার করবেন ।
Bangla Tips

ব্রণের প্রতিরোধে-  অসাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, অনিয়মিত জীবনযাপনের ফলে ব্রণ একটি খুবই সাধারণ সমস্যা । প্রধানত অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের মাঝে এই সমস্যা খুব বেশি মাত্রায় দেখা যায় । তাছাড়া ব্রণ হয়ার জন্য দায়ী কিছু হরমোনাল কারন, বাইরের ধুলোবালি ও তৈলাক্ত ত্বক । সে যে কারনেই হোক না কেন হলুদের মাঝে থাকা বিশেষ কিছু উপকরণ এই সমস্যার সমাধানে খুবই কার্যকরি কাজ করে । 


ব্যবহার বিধিঃ     

  • ১ চামচ  লেবুর রসের সাথে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে  একটি মিশ্রণ তৈরি করে শুধুমাত্র ব্রণের উপড় লাগাবেন ।
  • মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন । হলুদের মাঝে থাকা অ্যান্টিসেপ্টিকের গুনাগুন ব্রণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে ও লেবুর রসে থাকা ব্লীচিং ব্রণের দাগ দূর করে । 
  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম ঊঠাতে সাহায্য করে- কারও কারও মুখে অবাঞ্ছিত লোম থাকে যা দেখতে খুবই দৃষ্টিকটু ।
  • তাই অনেকেই ওয়্যাক্সিং বা থ্রেডিং পদ্ধতি অবলম্বন করে । এক্ষেত্রে হলুদের নিয়মিত ব্যবহার অনেক লাভজনক । 

ব্যবহার বিধিঃ  

  • হলুদের সঙ্গে জল মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈ্রি করুন তা শুধু অবাঞ্ছিত লোমের উপরে লাগান ।
  • তা শুকিয়ে গেলে লোমের গ্রোথের অপর পাশে ম্যাসাজ করবেন । দেখবেন আপনার লোমের সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে । 
  • চোখে নিচে কালোদাগ ও রিঙ্কেলস কমাতে- বয়স বাড়ার সাথে সাথেই বা অতিরিক্ত চিন্তা, অত্যাধিক পরিশ্রমের কারণে আমাদের সবাইকে এই সমস্যাগুলির সম্মুখিন হতে হয় । এই সমস্যায়ও হলুদ কাজে লাগানো যায় ।
ব্যবহার বিধিঃ     


  • মাখনের সাথে হলুদ ও আঁখের রস মিশিয়ে তরল মিশ্রণ তৈ্রি করুন ।
  • রাতে ঘুমানোর আগে আঙ্গুলের সাহায্যে চোখের নিচে ও পুরো মুখে ভালভাবে ম্যাসাজ করুন  

3. নারিকেল তেলঃ  

Bangla Tips

প্রাচীনকাল থেকে চুলের পুষ্টির জন্য নারিকেল তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে আজকে আমরা জানতে পারবো ত্বকের যত্নে নারিকেল তেল আমরা কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারি ।


নারিকেল তেল মেকাআপ রিমুভার হিসাবে ব্যবহারঃ

সারাদিন আপনারা যা কিছুই করুন না রাতে ঘুমানোর আগে খুবই জরুরী বিষয় হলো মেকআপ তোলা ও এবং সে জন্য আমরা নামি দামী বিভিন্ন রকমের মেকআপ রিমুভার বেশি দাম দিয়ে কিনে থাকি অথচ প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার আমাদের বাড়িতেই রয়েছে ।

ব্যবহার বিধিঃ

  • রাতে ঘুমানোর আগে দুয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল আপনার মুখে লাগান ।
  • তারপর একটু ভেজা কাপড় বা তুলা দিয়ে হালকা ভাবে ঘষে মেকাআপ তুলে ফেলুন ।
  • এবার দেখুন নামী দামী রিমুভারের থেকে নারিকেল তেল কত ভাল ভাবে কাজ করে ও আপনার ত্বকের গভীর থেকে পুষ্টি দেয় ।
এক্সফ্লিয়েট হিসাবে নারিকেল তেলের ব্যভারঃ-   মৃত কোষ তুলে মুখের নতুন কোষ বৃ্দ্ধিতে এক্সফ্লিয়েটের অপরিসীম ভুমিকা পালন করে ।

ব্যবহার বিধিঃ- 


  • এজন্য বেকিং সোডার সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন । 
  • এটি স্ক্রাবের জন্য ভালো কাজ করে কিন্তু সেন্সিটিভ স্কিনে সোডার ব্যবহার না করে চিনির সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ।
নারিকেল তেলের ব্যবহার শুষ্ক ত্বকের যত্নেঃ-  খুব বেশি যাদের ত্বক শুষ্ক বা ড্রাই স্কিন তাদের গোসলের পরে চামড়া শুঁকিয়ে যায় । এ সমস্যা বেশি দেখা যায় শীতকালে । এজন্য গোসলের পানির সাথে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল মিশিয়ে গোসল করলে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায় শুষ্ক ত্বকের সমস্যার জন্য । 

চোখের তারার কালো দাগ বা ডাক সার্কেল দূর করতেঃ-  কাজের  চাপের জন্য যদি  ডাক সার্কেল  আপনার সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে খাঁটি নারিকেল তেল হাতে নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে চোখের নিচে হালকা ম্যাসেজ করে ঘুমিয়ে পড়ুন । চোখের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে নারিকেল তেল যার ফলে কিছু দিনের মধ্যেই আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে । 


 4. মধু (Honey)        
Bangla Tips

সেই প্রাচীনকাল থেকে আমরা মধু বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি । প্রাচীন পুঁথিগুলোতে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে । ত্বকের যত্নে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো মধুর গুনাগুন ।

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধুর ব্যবহারঃ- আমাদের শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু ভীষণ কার্যকরী । মধুতে থাকা মইয়েশ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বকের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনে। 

বার্ধক্যের দাগ প্রতিরোধের জন্যঃ-  মধুতে থাকা  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা্র্ধক্যের দাগ হ্রাস করে করে তোলে উজ্জল ও লাবণ্যময়ী । তাছাড়া পায়ের ফাটা গোড়ালি ও ফাটা ঠোটে মধু ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায় । 

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধেঃ-  ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে মধু ।   

5. লেবু (Lemon  )
 আমাদের রান্নাঘরে সবসময় থাকে পাতিলেবু (দেশি লেবু) । পাতিলেবু শুধু খাদ্য হিসাবে নয়, রূপচর্চায় অপরিসীম অবদান রয়েছে ।
Bangla Tips

শরীরে রঙ ফর্সা করতেঃ- র আগেই বলেছি লেবুতে থাকা ব্লীচিং এর গুনাগুনের জন্যই ত্বকের কালো ভাব অতিসহজেই দূর সম্ভব । 

ব্যবহার বিধিঃ-  

  • বেকিং পাউডারের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণের দাগে, হাটু ও কনুইয়ের কালচে ভাব অংশে লাগান ও কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন । 
  • অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই পদ্ধতি অনুকরণ করলে অতিসহজেই কালচে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
স্ট্রেচ মার্কস দুরকরনীয়ঃ- অতিমাত্রারিক্ত ওজন বাড়ার ফলে বা পেগনেন্ট (গর্ভবতী ) মহিলাদের খুব সাধারণ সমস্যা হলো স্ট্রেচ মার্কস । এই সমস্যা সমাধানের জন্য মার্কসের উপর লেবুর রস নিয়মিত লাগালে মার্কসের দাগ কমে যেতে আরম্ভ করে ।

 6.আদা (Ginger) 
 প্রতিদিনের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান আদা । ত্বকের জন্যও তার অপরিসীম অবদান । তাহলে চলুন জেনে নেই আমাদের ত্বকের জন্য আদা কি কি ভুমিকা পালন করে । 
Bangla Tips

হাইপারপিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করেঃ-  আদার রস হলো হাইপারপিগমেন্টেশনের শ্রেষ্ঠ প্রতিশোধক। নিয়মিত দশ দিন টাটকা আদার রস ব্যবহারে আপনার হাইপারপিগমেন্টেশন নিমিশেই দূর হয়ে যাবে । 

প্রাকৃ্তিক ক্লিনজারে আদার রসঃ- প্রাকৃ্তিক ক্লিনজার হিসাবে আদার রস খুবই কার্যকরী । 
তাছাড়া দুধের সাথে আদার পাউডার দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈ্রি করে মুখে লাগাবেন। আপনার হাতের মুঠোয় আসবে উজ্জল ত্বক । 
আদার রসে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে । 
    

7. মরিচ (Chili)
সাধারণত রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য কালো মরিচ (গোল মরিচ) ব্যবহৃত হয় । কিন্তু আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায়, জ্বর, স্র্দি- কাশীতে এই মরিচ ব্যবহার করা হয় । তাহলে চলুন আমাদের রান্নাঘরে রাখা এই মশলাটির গুনের কথা Bangla Tips থেকে জেনে নেই ।

গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে ও ফাইবার । তাছাড়া এতে রয়েছে অপরিহার্য পিপেরাইন তেল যা অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহৃত হয়, বাত ব্যাথা, পাচন সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে । এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুন রোগ প্রতিরোধ করে, গায়ের কালোজ্বর (ঘুষঘুষে জ্বর) কমাতে ব্যবহার করা হয় ।

বার্ধক্যের ছাপ কমাতেঃ-   প্রতিদিনের খাদ্যের সঙ্গে কালো মরিচ বা গোল মরিচ খেলে বার্ধক্যের দাগ, মুখের কালচে ভাব দূর করে ও মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে । 

ত্বকের এক্সফলিয়েশনেঃ-  দইয়ের সাথে গোলমরিচ গুড়ো মিশিয়ে মুখে এক্সফলিয়েট হিসাবে ব্যবহার করুন । 

গায়ের রঙ ফর্সা করতেঃ-  গায়ের রঙ উজ্জল ও ফর্সা করতে মধুর সাথে গোল মরিচ গুড়ো মিশিয়ে মুখে ও হাতে ব্যবহার করুন । 



8. বেসন (Besan) 
 আমাদের সকলের ঘরেই বেসন থাকে । সন্ধ্যার সময়ের নাস্তায় আলুর চপ বা বেগুনি তৈ্রিতে বেসন ব্যবহার করি । নরমাল খাবারকে আনকমন বানাতে এর কোন জুড়ি নেই । প্রয়োজনীয় খাবার ছাড়াও রুপচর্চাতেও বিপুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বেসন । 

ত্বককে পরিষ্কার করতেঃ- ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার করতে বেসন খুব সহায়তা করে । আমাদের দাদি- দিদারা বলতেন হলুদের সাথে বেসন মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হবে ভীতর থেকে ফর্সা ও উজ্জল । 

রোদে পোড়া চামড়া ঠিক করতেঃ-  সানস্কিন ব্যবহার না করার কারনে সূর্যের তাপে পুড়ে যায় আপনার চামড়া । রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য বেসনের সঙ্গে লেবুর রস, এক চা-চামচ দুধ ও সামান্য একটু হলুদ গুড়ো মিশিয়ে পোড়া দাগের উপরে লাগান । অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার কালচে ভাব দূর হবে এবং আগের উজ্জলতা ফিরে পাবেন ।  
ফর্সা ত্বক পেতেঃ-   বেসনের মাঝে থাকে স্কিন লাইটেনিন প্রপাটিজ যা আপনার ত্বককে উজ্জল করতে সহায়তা করে । প্রতিদিন সাবান বাদ দিয়ে যদি অল্প কিছু বেসন দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলেন তবে আপনার গায়ের রং উজ্জল হতেই থাকবে । তাই সাবানের জন্য অযথা টাকা নষ্ট না করে প্রতাহ্য বেসন ব্যবহার করুন । 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ-  বেসন ত্বককে শুষ্ক করে তোলে, ব্যবহারের সময় যদি আপনার ত্বক শুষ্ক মনে হয় তাহলে ব্যবহারের সময় নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন । অলিভ অয়েল বা তেল ব্যবহার করলে যেমন শুষ্কতা দূর হবে তেমনি ভাবে গভীর থেকে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হবে । 

9. তিলের তেল ( Sesame oil)
Bangla Tips

তিলের তেল একটি অত্যান্ত সুপরিচিত নাম । সাধারণত তিলের বীজ থেকে এই তেল তৈ্রি হয় । তিলের তেলে আছে অ্যান্টি ইনফ্লোমেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী । তাহলে আসুন Bangla Tips এর মাধ্যমে জেনে নেই ত্বকের জন্য তিলের তেল আমরা কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারি ।

প্রদাহ রোধ করেঃ- তিলের তেলে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় প্রদাহ রোধ করতে অনেক সহায়তা করে । তাছাড়া শীতকালে ত্বকের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ রক্ষার সহায়তা করে ।

ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতেঃ- তিলের তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায় । দীপ্তিময় ও দুষনমুক্ত ত্বক পেতে হলে এর সঙ্গে সামান্য পানি এবং আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে রাতের বেলা ভালো করে আপনার ত্বকে ম্যাসেজ করুন । পরের দিন সকাল বেলা ক্লিনজার দিয়ে ভালোকরে ত্বক পরিষ্কার করুন ।

ত্বকের গুরুপ্তপূর্ণ ময়েশ্চরাইজার করতেঃ- কাটা, ছেড়া ও ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য তিলের তেল ব্যবহার করা হয় । যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়েশ্চরাইজ করতে সহায়তা করে ।

ত্বকের বলিরেখা দূর করতেঃ- এই তেল প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস পেয়ে যায় যার ফলে ত্বকের বয়স দেখতে কম মনে হয়, ও আপনাকে দেখতে লাগে খুবই প্রাণবন্ত ।

পা ফাটার সমস্যার সমাধানেঃ- পা ফাটার সমস্যা যাদের আছে, নিয়মিত রাতের বেলা এই তেলের ম্যাসেজে পায়ের ফাটা দাগ দূর হয়ে যায় এবং তা আরও মোলায়েম হয়ে উঠে ।


10. দুধ (Milk)

Bangla Tips

আদিকাল থেকেই রুপচর্চার জন্য নিয়মিত ব্যবহার হয়ে আসছে সেই জিনিসটির নাম হলো দুধ । দুধের মাঝে আছে ল্যাকটিক অ্যাাসিড যা ত্বকের গভীর থেকে পরিস্কার করে, দাগ-ছোপ দূর করতে ও উজ্জল কোমল ত্বক পেতে ব্যবহার হয়ে আসছে । চলুন জেনে নেই সৌন্দর্য বাড়াতে দুধ কি কি উপায়ে ব্যবহার করা হয় ।


দুধের ব্যবহার টোনার হিসাবেঃ- সি.টি .এম এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেই অতিসহজেই কাঙ্ক্ষিত ত্বক পাওয়া যায় । সি এর মানে ক্লিন্সিং অর্থাৎ ত্বক পরিষ্কার করা, টি এর মানে টোনিং ও এম এর মানে হলো মইয়েশ্চরাইজিং করা । যদি আমরা আমাদের ত্বকের যত্নে এই নিয়ম মেনে চলতে পারি তবে আমাদের বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স বাড়বে না । এবং উপস্থিথ থাকা ত্বকের সমস্যার সমাধানও হয়ে যাবে । ঠাণ্ডা দুধ টোনার হিসাবে খুবই ভালোভাবে কাজ করে ।

দুধের মধ্যে সামান্য তুলা ভিজিয়ে নিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ভেজা তুলো মুখের উপর লাগান । দেখবেন মুখের কালচে ভাব ময়লা-নোংরার মাধ্যমে উঠে আসবে ।


ত্বক উজ্জল পেতে দুধের পেস্টঃ- সামান্য একটু দুধের সাথে ১ চামচ কাজু বাদাম বাটা, ১ চামচ কমলা লেবুর খোসা গুড়ো ও কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈ্রি করুন । কোমল, মোলায়েম ও উজ্জল ত্বক পেতে এই প্যাকের জুড়ি নেই ।

শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধের পেস্টঃ- বরদান সরূপ শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধ । খোসা ছাড়ানো কলার সাথে ১ চামচ মধু এবং সামান্য একটু দুধ মিশিয়ে ঘন গাঢ় পেস্ট তৈ্রি করে নিন এবং মুখের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন পরে সাধারণ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।


আসা করি এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে ঘরোয়া জিনিস দিয়ে উজ্জল, সুন্দর ত্বক পাওয়া যায় তা আজকে আপনারা জানতে পারলেন । প্রাকৃতিক উপাদানের উপকার আজীবন অপরিসীম । এই সব উপাদানের উপর আমাদের পুরোপুরি আস্থা রাখা উচিত। যেহেতু কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই কেবলমাত্র প্রাকৃ্তিক জিনিসের ব্যবহারে উজ্জল, সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়,তাই এর প্রভাব ধীর গতিতে সামনে আসে । এজন্য আপনাকে অব্যশই ধৈ্র্যশীল হতে হবে । আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার ও লাইক করবেন। আর অব্যশই কমেন্টের মাধ্যমে Bangla Tips কে আপনার সুন্দর মতামত জানাতে পারেন ।



 

























10 টি Bangla Tips - ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ানোর ঘরোয়া সহজ কিছু উপায়-Natural Amazing Beauty Tips In Bangla 10 টি Bangla Tips - ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ানোর ঘরোয়া  সহজ কিছু উপায়-Natural Amazing Beauty Tips In Bangla Reviewed by Bangla Tips on December 29, 2019 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.